শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বুধবার (২৬ মে) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী ১২ আগামী জুন পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিভিতে দেখছি ১২ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়লো। আবারও বলছি ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কারো ছয় দিন হবে কারো একদিন দিন হবে। যারা ২০২১ সালে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেবে তারা সপ্তাহে ছয় দিন এবং অন্য ক্লাসগুলোর একদিন ক্লাস হবে এবং পর্যায়ক্রমে এটা বাড়ানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েরটা সিদ্ধান্ত নেব ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খুব শিগগিরই আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে কত দ্রুত খুলে দিতে পারি, আমরা সেই চেষ্টা করব।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমরা স্কুলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পঞ্চম শ্রেণিগুলো সপ্তাহে ছয়দিন এবং বাকিগুলো একদিন করে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমরাও (প্রাথমিক) ১৩ জুন থেকে স্কুলগুলো খোলার চেষ্টা করব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যেন দ্রুত খুলে দিতে পারি সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যেন সংক্রমণের হার না বাড়ে। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের মধ্যে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। আমি অনুরোধ করবো সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি যাতে আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন রেডিও এবং সংসদ টিভিতে পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবশেষ আগামী ২৯ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।